“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৩ মে, ২০১৮

অবসরপ্রাপ্ত মা

।। অভীক কুমার দে ।।
           
(C)Image:ছবি
 
স্থায়ীভাবে তেমন কোন কাজ নেই বলে মাঝেমধ্যে ডাক এলে কিছু সার্ভের কাজ করি। সেই সুবাদেই যাওয়া হয়েছিল 'আশ্রয়' প্রতিষ্ঠানটিতে। ট্রেনিং ছিল।
            ইয়া বড়ো দালানবাড়ির ভেতর সরকারি কাজ থেকে অবসরপ্রাপ্ত একলা জীবনের মানুষগুলো থাকেন। বুড়ো বয়সে দরিদ্র মনটাকে কি আর দালানবাড়ি ঢেকে রাখতে পারে ! প্রতিদিনের সূর্যওঠা ভোর কিংবা বৃষ্টিভেজা সকাল মনের দুঃখগুলোকে ঘেঁটে দেখে। নিচতলার বারান্দা পেরিয়ে যে টবগুলো ফুল ফুটিয়ে দিনভর জেগে থাকে, সেগুলোর ঝলসে যাওয়া রঙে একেকটি দিন কষ্টকে আরও বড় করতে দেখি।
           তখন সকাল প্রায় দশটা। আমাদের ক্লাস শুরু হবার আগে একবার নিচে এসেছিলাম। সেজেগুজে দুজন মেয়েমানুষ বেড়িয়ে গেলেন সামনে দিয়ে। বয়স খুব বে
শি হলে আমার বয়সের কাছাকাছি হবে। নিচে নামার সময় চোখে পড়েছিল কথা বলছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত মহিলার সঙ্গে। ঐ মহিলার সাথে গত তিনদিনে টুকিটাকি অনেক কথা হয়েছিল আমার। যেটুকু বুঝেছিলাম উনার তেমন কোনো কাছের মানুষ নেই। ওরা দুজন চলে যাবার পর ট্রেনিং হলে যাবার পথে উনার সঙ্গে চোখাচোখি হলে বরফভাঙা স্রোত দেখেছি তাঁর চোখে। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই বললেন, 'মা ছিলাম, এখন অবসরপ্রাপ্ত মা'


কোন মন্তব্য নেই: