“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

আকাশের পথ

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি
















১.
যদিও গ্রীষ্মের পর আর কোন যৌবন নেই,
তবু বছর বলে একটা বয়স হেঁটে যায় শরীর বেয়ে।
চওড়া রাস্তা
কল্পনার বৃষ্টি ঢেলে দিলে বর্ষাসুখ এক সবুজায়ন।
পরিচর্যার জন্যে শরতের ডাক আসে।
প্রলাপ কিংবা সংলাপে মেতে ওঠে কাশফুল,
কোন এক অবুঝ তেষ্টায়
প্রতিনিয়ত শিউলিপতন আর ঝাপসা সকাল,
শুকিয়ে যায় একেকটি দিনের কুয়াশাভেজা ঠোঁট।
জীবিকাজ্বর।
কোনো এক ভোরের মিঠে আলোয় হৈমন্তী হাসে।
যদিও ঘুমভাঙা উত্তাপের মতোই সাময়িক,
পিছে পিছে কনকনে শীত
একঝাঁক বিপজ্জনক শর্তের শরীর
শরীরে মোটা কাপড় পেঁচিয়ে দেয়াল।
যদিও গ্রীষ্মের পর আর কোন যৌবন নেই,
তবুও বসন্ত আসে আরেকটি গ্রীষ্ম আসবে বলে।
আকাশের পথ,
বয়স হেঁটে যায় শরীর বেয়ে...
২.
বনোজাতের হিংস্ররা পাকা ফসলে মুখ দিলে
আহত ফসলের চিৎকার বুকের পাঁজর ভাঙে,
ওখানে উদোম মাঠ
প্রাণ পড়ে থাকে রাতদিন।
আকাশ বলে--
প্রাণের ভেতর প্রাণের সব
যোগ- বিয়োগে মেতে থাকে, অথচ--
এসব আমার নীল বাগিচায় গণ্যকুশল,
এসব আমার নীল বাগিচায় বন্যমুসল,
সবই আমার নীল বাগিচার শূন্যফসল।


কোন মন্তব্য নেই: